সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

রোযা মানব স্বাস্থ্যের জন্য এক বিশেষ নিয়ামত (2)



ধূমপান, পান ও জর্দা ভক্ষন প্রসঙ্গে 
যারা ধূমপানকারী, রোযা তাদের ধূমপান ত্যাগের একটি মোক্ষম উপায়। ইসলাম ধূমপানের অনুমতি দেয় না। তাই তা নাজায়িয। অপরদিকে স্বাস্থ্যের জন্য ধূমপান খুবই ক্ষতিকর। ধূমপান মানে বিষপান এ কথা খোদ সিগারেটের গায়েই লেখা থাকে।



ধূমপানের যে জিনিসটি ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, তা হচ্ছে নিকোটিন (Nicotine)। পরিষ্কার শ্লেটের উপর পেন্সিলের দাগ বসাতে বসাতে তা যেমন খসখসে ও ঝাঁঝরা হয়ে যায়, ফুসফুসের উপরও তেমনি নিকোটিনের দাগ পড়তে পড়তে তা কালিমালিপ্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে ঐ ফুসফুসে রোগ-জীবানু বা ক্যান্সার টিস্যু আশ্রয় নেয়ার সুযোগ পায় এবং ক্রমশ তা মারাত্নক রোগ উৎপন্ন করে।
সওম পালন ধূমপায়ীকে সারাদিন ধূমপান থেকে বিরত রেখে ফুসফুকে দীর্ঘ সময়ের জন্য নিকোটিনের বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখে। ফলে ফুসফুস সুস্থ হতে থাকে এবং তার স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়া ফিরে আসে। 




যারা পানের সাথে জর্দা ভক্ষন করেন তাদের অবস্থাও ধূমপায়ীদের মতই। কারণ, তামাক থেকেই জর্দা তৈরি হয় এবং তাতে নিকোটিন থাকে। কাজেই সাওম পালন পানের সাথে জর্দা ভক্ষনকারীদের জন্য জর্দা ত্যাগের বিরাট সুযোগ এনে দেয়। এ সুযোগে তারা জর্দা ভক্ষন পরিত্যাগ পূর্বক মারাত্নক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
বছরে এক মাস রোযা রাখা মহান আল্লাহর বিধান। এভাবে আল্লহ তা’আলা শরীয়তের বিভন্ন বিধান প্রদান ‍করে আমাদেরকে সেগুলো পালন করার জন্য নির্দেশ ‍দিয়েছেন। তিনি মানুষের সৃষ্টিকর্তা। কাজেই তিনিই জানেন, মানুষের কিসে কল্যাণ হবে এবং সেই অনুযায়ী তিনি  বিধান দান করেছেন। শরীয়তের এ সকল বিধান পালন করে আমরা মহান আল্লাহর সস্তুষ্টি ও পরকালীন মহাসাফল্য লাভ করতে পারি। সেই সাথে এ সকল আমলের জাগতিক যে কল্যাণ রয়েছে, তাও আমরা পেতে পারি অনায়াসে। 

লিখক- মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ
 সম্পাদনায়- R.Hossain