ভিক্ষুকটি
রাস্তায় বসে ‘ইয়া আল্লাহ’ ‘ইয়া আল্লাহ’ জপে, লোকদের কাছ থেকে একটাকা-দু’টাকা করে
সাহায্য নেয়। ঘটনাক্রমে এ রাস্তায় আগমন ঘটলো এক নাস্তিক পন্ডিত। সাক্ষাত হল
ভিক্ষুকের সাথে। পন্ডিত ভিক্ষুককে বলল, তুমি যে ‘ইয়া আল্লাহ’ ‘ইয়া আল্লাহ’ জপ
করছো, কোথায় তোমার আল্লাহ? তাকেতো দেখছি না।
ভিক্ষুক
: আরে ভাই আল্লাহকে তো দেখা যায় না। শুধু অনুভব করা যায়।
পন্ডিত
: তাহলে যাকে দেখা যায় না, তাকে ডাকছো কেন? তাকে দেখাতে হবে। নইলে এখানে ভিক্ষা
করতে পারবে না।
এভাবে
নাস্তিক পন্ডিত ভিক্ষুকের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হল। কিন্তু ভিক্ষুক পন্ডিতের সাথে
বিতর্কে কুলিয়ে উঠতে পারল না।
সে
সময় ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন একজন আলেম ব্যক্তি। তিনি তাদের বিতর্ক শুনে এগিয়ে এলেন।
ভিক্ষুক
আলেম ব্যক্তিকে দেখে বললো, সাব! দেখেন তো-এই ভদ্রলোকটি বলছেন, আমাকে নাকি আল্লাহকে
দেখাতে হবে, না হয় এখানে ভিক্ষা করতে পারবো না।
আলেম
ব্যক্তি সবকিছু শুনে নাস্তিককে বললেন, আপনি যদি আল্লাহকে দেখতে চান, তাহলে এক
সমাবেশের আয়োজন করুন।
কথামত
পরের দিন বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হল। আল্লাহকে দেখার জন্য অনেক লোক জড়ো হল।
নাস্তিক
পন্ডিত ও আলেম ব্যক্তি মুখোমুখি হলেন। আলেম ব্যক্তি হঠাৎ হাতের লাঠি
দ্বারা পন্ডিতের মাথায় আঘাত হানলেন। আঘাত পেয়ে পন্ডিত চিৎকার করে
কাঁদতে লাগলো। আলেম ব্যক্তি বললেন, আপনি কাঁদছেন কেন?
পন্ডিত
: আঘাত করে আবার জিজ্ঞাসা করছেন? আঘাতের ব্যথায়ইতো কাঁদছি।
আলেম
ব্যক্তি : ব্যথা! কোথায় ব্যথা? আমি দেখছি নাতো! আমাকে দেখান।
পন্ডিত
: আপনি পাগল নাকি! ব্যথা কি কখনো দেখা যায়? এটাতো ক্যাবল অনুভব করা যায়।
এবার
আলেম ব্যক্তি বললেন, আপনার মাথার ব্যথা যেভাবে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়,
ঠিক তেমনিভাবে বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহকেও দেখা যায় না, বরং অনুভব করা যায়।
আলেম
ব্যক্তির এমন আজব বুদ্ধিতে নাস্তিক পন্ডিত লা-জাওয়াব হয়ে গেলো। তাই হেরে গিয়ে সে
আত্মসমর্পন করল।
লিখক- মো: রুহুল আমীন শাহাব।
সম্পাদনায়- R.Hossain