মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

গাছ ও কুড়ালের সংলাপ




অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে বাস করতো গরীব এক কাঠুরিয়া সে বনে ঘুরে ঘুরে কাঠ কাটতো আর সেগুলো বাজারে বিক্রি করতো। এভাবেই চলতে লাগলো তার দিনকাল।

কাঠুরিয়ার ছিল সুন্দর একখানা কুড়াল। প্রতিদিনের মতো আজও সে বের হয়েছে কাঠ কাটার জন্য। যে বনে সে কাঠ কাটে, সেখান ছিল বহু পুরনো এক সেগুন গাছ। কাঠুরিয়া যখন তার কুড়াল দিয়ে সেগুন গাছ কাটতে লাগলো, তখন সেগুন গাছের কি আহাজারি! অর্ধেক কাটার পর ক্লান্ত হয়ে কাঠুরিয়া যখন বিশ্রাম নিচ্ছিল, তখন গাছ কুড়ালকে প্রশ্ন করছে– ও কুড়াল ভাই। তোমার সাথে তো আমার কোন শক্রতা নেই। তারপরও কেন তুমি আঘাত করছো?

কুড়াল কিছু না বলে ভাবে, সত্যিই তো! কেন আমি আঘাত করি! গাছ তিনবার প্রশ্নে করার পর কুড়াল বলে, ও গাছ ভাই! আমি কী করব বলো, তুমি দেখছো যে, আমার গোড়াতে একটা ছিদ্র আছে, সেই ছিদ্রতে তোমার জাত ভাইয়ের একটা টুকরো দিয়ে হাতল তৈরী করে সেটায় ঢুকিয়ে তোমার শরীরে আঘাত করা হয়। আমি তো কিছু করতে পারি না। গাছ ভাই! দেখ, আজ সব জায়গায় নিজের জাত ভাই তার ভাইকে আক্রমণ করে কিভাবে ধ্বংস করছে। 


শিক্ষা: আজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে বুকটা হুহু করে কেঁদে ওঠে। কিভাবে আজ গুটি কয়েক দেশকে কাফির রাষ্ট্রগুলো লেলিয়ে দিয়েছে। যার রেশ ধরে আজ বাংলাদেশের হক্কানী উলামাদের পিছনে কিছু ধর্মের লেবাসধারী আলমদের লেলিয়ে দিয়েছে। কোন্ স্বার্থের তাগিদে তারা পিছনে লাগিয়েছে? তাদের একাটাই স্বার্থ, তোমরা মারামারি করো আমরা খুশি। তাই সময় থাকতে সাবধান হওয়া দরকার। নইলে গাছ ও কুড়ালের মতো অবস্থা আমাদের হবে।