রবিবার, ৮ মে, ২০১৬

বিশ্ব মা দিবস


‘মা’ এক বর্ণের বিশাল নাম। সন্তানের উৎসের নাম, অস্তিত্বের নিরাপত্তার নাম। সন্তানের জন্য মা শ্বাস্বত। গর্ভধারিনী এই মায়ের জন্য একটি মাত্র দিন নয়- প্রতিটি দিনই মায়ের জন্য সন্তানের প্রতি কণা অস্তিত্বে মিশে যাচ্ছে মায়ের সত্তা। মায়ের এক দিনের বোধদয় আসলে প্রতি দিনের-চিরদিনের। এই চেতনায় ‘মা দিবসে’ প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে আসে পৃথিবী তাবৎ সন্তান।  
মায়ের প্রতি সীমাহীন শ্রদ্ধা,
সন্তানের চিরন্তন অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা, ভালবাসার অবনত হওয়ার দিন হচ্ছে আজকের মা দিবসের চেতনা। পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষাস্থল হচ্ছে মায়ের কোল। সেই মায়ের অবদান স্মরণ করে অবিভূত হওয়া মাকে তার প্রকাশ জানানোর দিনই হচ্ছে ‘মা দিবস’।
বিশ্ব ইতিহাসে মা দিবস এক পুরনো রীতি। ১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে পালিত হয় মায়ের রোববার। ঐ সময় ইংল্যান্ডের দরিদ্র মানুষগুলো চাকর হিসেবে কাজ করত ধনীদের বাড়ীতে এবং থাকতে হক মনিবের বাড়ীতে। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য মহিলা ভৃত্যদের ছুটি দেয়া হতো প্রতি রোববারে, বলা হত ‘মাদারিং সানডে’।





ধীরে ধীরে সমগ্র ইউরোপে এর প্রচার ঘটে। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের লেখক জুলিয়া ওয়ার্ড হো শান্তির জন্য মা দিবসের কথা লেখেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে মিস জারভিক ও তাঁর সমর্থকগণ, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ব্যবসায়ীসহ সকলের প্রতি আবেদন জানান ‘মা দিবস’ পালনের জন্য। তাঁর এই আবেদনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রদেশে মা দিবস পালিত। ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রেসিডেন্ট ইউষ্ট্রো উইলসন ঘোষণা দেন যে, প্রতি বছর মে মাসের ২য় রোববার ‘মা’ দিবস’ পালন করা হবে। এইভাবেই মে মাসের ২য় রোববার হয়ে উঠে মা দিবস। যা বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে। 
লিখক: R.Hossain