শনিবার, ২১ জুন, ২০১৪

মায়ার উপস্থিতিতেই

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার উপস্থিতিতেই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মারামারি করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের দুই নেত্রী। এরা হলেন- ধানমণ্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা এবং ঢাকা মহানগর মহিলা লীগের নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী।
শুক্রবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যকলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ দেশরত্ন পরিষদ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের কূটনৈতিক অপতৎপরতা ও বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তরায় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে মায়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা নিজেকে দেশরত্ন পরিষদের সভাপতি দাবি করে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাশকে ইডিয়ট বলে গালি দেন। পরে ঢাকা মহানগর মহিলা লীগের নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মেরে রাজিয়া মোস্তফাকে বের করে দেয়া হয়। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আয়োজক সংগঠনকে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে যারা হাতাহাতির ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, দেশে শয়তান ভর করেছে। ঈদের পর দেশ থেকে শয়তান তাড়ানো হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া ঈদের পরে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলন করার মতো শক্তি ও সাহস কোনোটাই আপনার নেই। আর আওয়ামী লীগ একটি বট গাছের মতো। এটাকে ঠেলা দিয়ে ফেলানো যাবে না। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি তো সারা দিন ঘুমান। বিকাল বেলা উঠে একটা মিথ্যা কথা বলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরে যান, চীন সফরে যান। সেখান থেকে বাংলাদেশের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে আসেন। সেখানে রাষ্ট্রপ্রধানরা তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে ছালার চটও বিছায়ে দেন না।
সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, অভিনেতা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শাবান মাহমুদ প্রমুখ।
এদিকে মারামারির ঘটনায় দুই মহিলার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পিনু খানকে ফোন করলে তিনি বলেন, রাজিয়া মোস্তফা ধানমণ্ডি থানা মহিলা লীগের সাবেক সভানেত্রী। আর ফাতেমা জাহান সাথী নামে কেউ মহিলা লীগের রাজনীতি করেন না।