একটি আজব ধরণের গাছ বাওবাব। এদের গোড়া প্রকান্ড ড্রামের মত গোল
আর বেশ মোটাও। এটির গোড়ার বেয় প্রায় নয় মিটার কিংবা তার বেশিও হয়ে থাকে। গোরাটা অমন
বেরেলের মত ডাবকা মোটা হলেও উচ্চতা খুব বেশি নয়।
এই বাওবাব গাছের ফলও খুব মজার। দেখতে লাউ-এর মতো। আবার
ওপরটা শুকনো। এই ফলগুলো বানরের খুব প্রিয় খাদ্য। বানরেরা ফলগুলো কামড়ে
কামড়ে রুটির মতো চিবিয়ে খায়। তাই কেউ কেউ এই আজব গাছগুলোকে বাদররুটি গাছও
বলে।
শুধু ফল নয়, এই গাছের গোটা অংশই মজার। বাকল হয় খুব পুরু। বাকল থেকে বের হয় শক্ত ও লম্বা আশঁ। যা দিয়ে তৈরি করা যায় রশি এবং কাপড়।
এদের কান্ড ঢাউশ মোটা হলে কি হবে, কাঠ খুবই নরম এবং অত্যন্ত হালকা। তাই যে
কোনো জীব জন্তু বা পাখি অনায়াসে ঠুঁকরে গর্ত করে ফেলতে পারে এবং তৈরি করতে
পারে রাস্তা। অনেক সময় মানুষেরাও এদের গোড়ায় গর্ত করে মজার বিশ্রামাগার
তৈরি করতে পারে।
এই বাওবাব গাছ নিয়ে আছে একটি মজার গল্প। বাওবাব গাছের
আদি নিবাস নাকি ছিলো স্বর্গে। একদিন এই গাছটির দিকে কুনজর পরলো শয়তানের।
শয়তানের মাথায় চাপলো বদ খেয়াল। তখন সে গাছটিকে উপরে ফেললো স্বর্গের মাটি
থেকে। তারপর গাছের ডাল-পালাগুলোকে ফেলে দিলো পৃথিবীর মাটিতে আর শেকড়গুলোকে
ছড়িয়ে দিলো বাতাসে। অর্থাৎ শয়তান গাছটিকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীর মাটিতে এনে
উল্টো করে লাগিয়ে দিলো। শিকড় রইলো আকাশে আর ডালা গেল মাটির নিচে।
আসলে গাছটিকে দেখলেও এমনটাই মনে হয়। মোটা কান্ডের উপরে যে খাটো খাটো
ডালপালা আছে তা দেখলে মনে হয় যেনো ওগুলো শেকড়। কেউ গাছটিকে উল্টো করে
মাটিতে পুতে দিয়েছে।
বাঁধ ভাঙার আওয়াজ এর ব্লগ থেকে সংগ্রহকৃত।