সোমবার, ২৩ জুন, ২০১৪

সাপ নিজেকেই ভক্ষন করল ।। Snake Eats Itself


সাপ শীতল রক্তের প্রানি অর্থাৎ সাপ নিজের দেহের তাপমাত্রা নিজে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। এর দেহের তাপমাত্রা নির্ভর করে পরিবেশের তাপমাত্রার উপর। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সাপের দেহের মেটাবলিজমের মাত্রা বেড়ে যায় ফলে তখন সাপ ক্ষুদা অনুভব করে। আর এ কারনেই গ্রীষ্মকালে সাপের দেখা মেলে আর শীতের সময় সাপের মেটাবলিজম কমে যায় ফলে ক্ষুদা অনুভব করে না। আর একারনেই সাপ শীতের সময় কোন গর্তে লুকিয়ে থাকে শীত নিদ্রায় কাটিয়ে দেয় শীতকাল।

কিন্তু যে সকল সাপকে মানুষ সখের কারনে পোষে তাদের ক্ষেত্রে আবার প্রকৃতির এই তাপমাত্রা খুব কম প্রভাব ফেলে। যারা সাপ পোষে তারা বৈদ্যুতিক বাতির মাধ্যমে সাপ রাখার স্থানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। যেখানে সাপ রাখা হয় সেখান আবার ছায়ার ব্যাবস্থাও রাখা হয় যাতে সাপের শরীর বেশি গরম হয়ে গেলে তারা এই ছায়ায় যে নিজেদের দেহের তাপমাত্রা কমাতে পারে।
কিন্তু যখন সাপ রাখার স্থানের তামমাত্রা বেশি বেড়ে যায় তখন সামের দেহের মেটাবলিজম এত বেশি বেড়ে যায় যে সাপ তখন নিজেকে অনেক বেশি ক্ষুদার্থ ভাবা শুরু করে, যদিও তাকে পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তারপরেও খুদা অনুভব করে। আর এসময় তারা সামনে যা পায় তাই খাবার চেষ্টা করে। এমনকি নিজেকেও নিজে খেয়ে ফেলার চেষ্টা করে।
নিজেকে খাবার চেষ্টা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিহত করা যায় তাপমাত্রা কমিয়ে আর সাপ যদি বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠে তাহলে বাহ্যিক সহায়তায় সাপকে ছাড়িতে দিতে হয়। তা না হলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিজেকে ভক্ষন করতে থাকে।
এরকম ঘটে "রবার্ট মট" (Robert Mott) যখন এক প্রানী বিক্রয় কেন্দ্রে যান। সেসময় সেখানে বিক্রেতা অনুপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি দেখতে পান যে একটি সাপ নিজেকেই ভক্ষন করছে। যদিও সাপটি পানির পাত্রের মধ্যে ছিল তারপরেও বলা বাহুল্য যে সাপটির দেহের তাপমাত্রা কমাবার জন্য এই পানি যথেষ্ট ছিল না এবং সাপটি নিজেকেই খেয়ে ফেলতে থাকে। এমনকি নিজেই নিজেকে আহত করে দেহ থেকে রক্ত পর্যন্ত বের করে ফেলে। যদিও যানা সম্ভব হয়নি সাপটি বেঁচে আছে নাকি নিজেই নিজেকে খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
চলুন এবার দেখে নেই সাপের নিজেকে ভক্ষন করার সেই ভিডিওটি,